যে কোন পত্রিকার পুজো সংখ্যার জন্য সারা বছর পাঠক আর লেখকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। তবে প্রবাহ কিন্তু পুজো সংখ্যার বদলে নিয়ে এসেছে উৎসব সংখ্যা – কারণটা কী! এই সংখ্যাটা পড়েই দেখুন না। কী কী থাকল এই সংখ্যায়। প্রথমে আসি ‘কাব্যপ্রবাহ’র কথায়, যা আমাদের মেরুদন্ড। ১৩টা কবিতার মোটামুটি সবই আনন্দ বা উৎসব বিষয়ক। ও হ্যাঁ, কয়েকটা বর্ষা নিয়েও আছে - "বৃষ্টি ভেজা পদ্মবন", "বর্ষা"। থাকবে না! যা বৃষ্টি হচ্ছিল পুরো শরৎকাল জুড়ে, কবিদের কলম তো পেখম মেলে নাচবেই! আর আছে ৫টা ‘কাহিনীপ্রবাহ’। ৩ টে ‘প্রবহমান গল্প’ও - "পিউ কাঁহা" আর "মন কেমন করে" তো চলছে আগের সংখ্যা থেকেই, নতুন সংযোজন "অলকেশ"। ইশশ, ঠিক ধরে ফেললেন তো? হ্যাঁ "মিছিল" আর "র্যাগিং" এই সংখ্যায় খাপ খাচ্ছিল না তাই দুটো গল্পেরই শেষটা জানতে আপনাদের অপেক্ষা করতেই হবে আগামী সংখ্যা অবধি। দুই লেখকই অবশ্য পাঠকের সঙ্গ ছাড়েন নি, পরিবর্তে সুন্দর দুটি কবিতা উপহার দিয়েছেন - যথাক্রমে "শুভ শারদীয়া" ও"গোধূলি বেলায়"। ‘প্রবহমান উপন্যাস’ "কাটাঘুড়ি আট" - সেই যে সদ্য আটে পা দেওয়া ছোট্ট মেয়েটার জীবন ও বাস্তবের কাঠিন্য ও কদর্যতার মুখোমুখি হওয়ার সামাজিক কাহিনী, পুজোর আবহে এগিয়েছে নিজের গতিতে। দুটি ‘খুশির প্রবাহ’ - আরে রম্যরচনা ছাড়া আবার আনন্দ উৎসব হয় নাকি! থাকল দুটি সময়প্রবাহ - "মাতৃরূপেণ" যা শুধু আজকের দিনটিতে নয়, আধুনিক সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আরে পড়ে দেখুন তবে তো বুঝবেন কি বলছি!.... আর "উৎসবের রঙবদল" যেটি কঠোর বাস্তবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ধারাবাহিক ভ্রমণকাহিনী? প্রবাহ-তে সবই সম্ভব! ‘প্রবাহে ভেসে’-তে থাকল "বৃষ্টিভেজা মেঘালয়"-এর শেষ পর্ব; তার সাথে এবার ছোট্ট পুজো-উপহার - বেড়ানোর টুকিটাকি, ওই কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এইসব আরকি। এছাড়া আমাদের অনন্য বিভাগগুলো তো থাকছেই - ‘আটপৌরে’তে ছোটবেলায় দেশের বাড়ির পুজো দেখার একটি মনকাড়া স্মৃতিচারণ, ‘সেই বইটা’য় এক আধুনিক কবির লেখনীর অনুপ্রেরণা, ‘সিনেম্যাটিক’ এ প্রিয় সিনেমা ফিরে দেখা, ‘হারিয়ে যাওয়া পেশা’য় আধুনিক চোখ দিয়ে এক অবলুপ্ত পেশার সারমর্ম উপলব্ধি, ‘জানেন কি’তে পুজো সম্পর্কিত এক-টুকরো মিষ্টি তথ্য, ‘হেসেখেলে হেঁশেল’-এ চটজলদি প্রাদেশিক রান্না "ব্যানানা শিরা"। আর অন্ত্যমিলে যে লেখাটা ছাড়া তো প্রবাহ অচল, সেই 'ম্যাপ পয়েন্টিং'এ মোচ্ছব দেখার ফাটাফাটি গপ্পো - উৎসব যে দেশেরই হোক, যে উপলক্ষ্যেই উদযাপিত হোক, উৎসবই তো.... আর মহোৎসব যে বছরে মাত্র একটিবারই আসে!!! যাঁরা প্রবাহ উল্টেপাল্টে দেখছেন বা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখেন, তাঁরা নিশ্চয় অ্যাদ্দিনে "কথা হোক"-এর কথা শুনে ফেলেছেন, যা প্রবাহ-র এক ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা, বলতে পারেন বেশ সাহসী এবং অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। প্রতিশ্রুতিমতো গত সংখ্যার প্রশ্নের উত্তর এই সংখ্যায় ছাপা হয়েছে ব্যাক কভারের ভিতর দিকে। এবং কিছু নতুন প্রশ্ন সংযোজিত হয়েছে যেগুলির উত্তর দেবেন আমাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, পরের সংখ্যায়। আর প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি থাকল একটি জরুরি মনস্তাত্বিক প্রবন্ধ - "আলোর নিচে"। সত্যি, আলোর নিচে থাকা মানুষগুলোর জীবনেই যে বড্ড বেশি অন্ধকার - আর আজকালকার সমাজ মাধ্যমের আলো ছোট বড় অনেককেই খুব সহজে আলোর নিচে নিয়ে আসছে। তাই এই উৎসব-মরশুমের প্রাক্কালে কিছু জানা সতর্কবার্তার পুনরাবৃত্তি করতেই প্রেরণার এই প্রতিবেদন।
A new age publishing house that promises to inspire and support creativity in budding writers.