প্রবাহ - জুন ২০২৩ সংখ্যা


Jun 2023


প্রবাহ-র সৃজন এই সংখ্যায়। প্রবাহ তার নামের মতোই গতিময় প্রতি মাসে-দু’মাসে মুখ দেখায়। গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে এখানে প্রচ্ছদ কাহিনী আর সম্পাদকীয় একই পাতে। প্রচ্ছদে মাছের ছবির তাৎপর্য একটু বলে নেওয়া যাক.... শুধু যে জল আর প্রবাহ বলেই মাছের ব্যবহার সেটা নয়; আসলে আমাদের সীমিত অভিজ্ঞতায় যতটুকু বুঝেছি, বাংলায় বইপড়া চলুক বা না-চলুক, বই বিক্রি হোক চাই নাহোক, বাংলা পুস্তক প্রকাশনার জগৎটা বেশ একটা ছোটোখাটো সমুদ্র। কি? বাড়াবাড়ি? আচ্ছা, নিদেনপক্ষে হ্রদ তো বটে? তা মিষ্টিজলের হ্রদ হোক বা নোনাজলের সমুদ্র, মোটমাট সেখানে ছোটো-বড়ো-মাঝারি সবমাপের মাছের (থুড়ি, প্রকাশকের) জন্যই অবাধ-বিচরণের আর খাদ্য-সংস্থানের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সেটাই একটু আর্টিস্টিকালি বোঝানোর চেষ্টা করলাম আরকি! এবারেই প্রথম মুখদেখা, তাই ব্যঞ্জন সাজাতে কার্পণ্য করি নি, সাধ্যমত আয়োজন করেছি - মুখ্য আকর্ষণ প্রবহমান (মানে ওই ধারাবাহিক আরকি) উপন্যাস: “কাটাঘুড়ি আট” - একটি সদ্য আটে পা দেওয়া বালিকার জীবনযুদ্ধ ও জাগতিক কালিমা প্রত্যক্ষ করার সামাজিক গল্প । এ ছাড়াও থাকল কাব্যপ্রবাহ - খান বারো কবিতা, কাহিনীপ্রবাহ - গোটাচারেক গল্প, প্রবহমান (বল্লাম যে, ধারাবাহিক) গল্প - খান চারেক, খুশির প্রবাহ অর্থাৎ রম্যরচনা, প্রবাহে ভেসে মানে ভ্রমণকাহিনী। জুনে যেহেতু উদযাপিত হয় হেলেন কেলারের জন্মদিবস (২৭শে) ও মৃত্যুদিবস (১লা) দুই-ই আর ইদানিং বিশ্বজুড়ে চলছে প্রতিবন্ধকতার কাছে হার-না-মানার নানাবিধ সম্মাননা - তাই প্রবাহে ভাসলাম আমরাও; থাকল একটি ভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ - কলমে এমনই একজন অপরাজিত যিনি দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতাকে রোজ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে হেসেখেলে পার করছেন জীবনযুদ্ধের পর্বত। সঙ্গে একদম টাটকা কিছু পদ - নাম দিয়েছি "ভিন্ন প্রবাহ"; প্রধান আকর্ষণ 'ম্যাপ পয়েন্টিং'-এ রোমাঞ্চকর ভ্রমণস্মৃতি: “তুষার নেকড়ের চোখ”। এছাড়া 'সেই বইটা'য় লেখকের জীবনে ছাপ-ফেলা একটি বই-আলোচনা, 'আটপৌরে'তে ঘরোয়া স্মৃতিচারণ, 'সিনেম্যাটিক'-এ ভিন্ন স্বাদের ম্যুভি দেখার অভিজ্ঞতা। টুকিটাকিরাই বা বাদ যায় কেন, ওগুলো তো "সর্বঘটে কাঁঠালিকলা" – এই যেমন ‘জানেন কি’তে এবারের আয়োজন “চায়ের কাপে চায়ের গপ্পো”- ছোট্ট প্রবন্ধের আদলে সাধারণ জ্ঞান, ‘হেসেখেলে হেঁশেল-এ চটপট রান্না “থোরান”। আসলে আমরা জলের মতই থাকতে চেয়েছি জানেন - কোনো রং বা আকার দিয়ে স্রষ্টার সৃষ্টিকে বাঁধতে চাই নি, তাই এসংখ্যায় বিষয়ের বা শব্দসংখ্যার সীমাবদ্ধতা নেই। সময় বহমান, তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিস্যুয়াল আর্টসের দিকে যতদূর সম্ভব নজরদারি করেছি - গলা ফাটিয়ে বলতে পারি, প্রবাহর প্রতিটি অলঙ্করণ মৌলিক। আর লেখকের পাশাপাশি অলঙ্কারিককে সমান পরিচিতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ‘অলংকরণ কথায় ফটোগ্রাফির গল্প। বাংলা পত্রিকার জগতে একদম নতুন ঘরানায় হাজির হলো প্রবাহ, তাও আবার ফেসবুক লাইভে সাড়ম্বর সম্প্রচারের মাধ্যমে।

সূচি